এমসি কলেজ এ ছাত্র হস্টেলে নিয়ে স্বামী কে বেধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ!
এবার কিছু কথা বলি। আমরা প্রায়ই দেখি বা শুনি দেশের বিভিন্ন স্থান, স্কুল/ কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, নির্জন রাস্তা কিনবা বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ১ টা ছেলে আর ১ টা মেয়েকে পাওয়া গেলে মেয়েকে গণধর্ষন, ছেলে কে মারধর, মোবাইল, মানিব্যাগ কেড়ে নেওয়া হয়। এগুলো কারা করে? এলাকার পাতি নেতা বা নেতার চেলা পেলা যাদেরকে আমরা বলি টুকাই! কিন্তু এসব বেশির ভাগ ঘটনাই প্রকাশ পায় না। কারণ বেসির ভাগ থাকে প্রেমিক প্রেমিকা। অনেক সময় তাদের সম্পর্কের কথা জানাজানির ভয়ে তারা কাউকে বলে না৷ তাই আমরাও ভাইরাল করতে পারিনা এগুলো।
এমসি কলেজের ঘটনাটাও হয়ত প্রকাশ পেত না যদিনা তারা স্বামী স্ত্রী হত। এই ধর্ষক জানোয়ারদের মত হাজার হাজার হায়না ফাদ পেতে বসে আছে দেশের বিভিন্ন স্থানে৷ আমরা সবাই জানি অমক ভার্সিটির অমক জায়গা টা নিরাপদ না, অমক রাস্তা দিয়ে রাতের বেলা ছেলে মেয়ে এক সাথে যাওয়া নিরাপদ না৷ আমরা এটাও জানি কাদের জন্য এই অনিরাপত্তার সৃষ্টি। কিন্তু আমরা কোন প্রতিবাদ করি না, পুলিশের কাছে পর্যন্ত কম্পলেইন দেই না কেউ। সমাধান হিসেবে বলি প্রেমিক প্রেমিকা রাতের বেলা বাইরে কি করে! নির্জন জায়গায় যায় কেন!
কেন ভাই প্রেমিক প্রেমিকা রাতে বাইরে ঘুরতেই পারে, নির্জন জায়গায় বসতেই পারে৷ প্রেমিক প্রেমিকা হোক আর স্বামী স্ত্রী, ভাই বোন যায় হোক সবার জন্য নিরাপত্তা পাবার অধিকার আছে৷প্রেম খারাপ হোক ভাল হোক সেটা ত আমাদের দেখার বিষয় না৷ সবার স্বাধীনতা আছে, সবাই সব জায়গায় যেতে পারবে, রাতে রাস্তা দিয়ে হাটবে, নির্জনে গল্প করবে তাতে ত কারো বাধা দেওওয়ার অধিকার নেই। যারা এই সব কার্যকলাপের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা আমাদের কর্তব্য,প্রসাশন কেউ এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে আমাদের সাহায্য করা উচিত।
আমরা সুযোগের অভাবে সবাই সৎ না হয়ে নিজের প্রয়োজনে, সমাজের প্রয়োজনে সৎ হই৷ যে ছেলে কাল ধর্ষকের ফাসি চেয়ে পোস্ট দিয়েছিল আজ সে নিজেই ধর্ষক!!
#ধর্ষকদের_দ্রুত_বিচার_শেষ_করে_শাস্তি_দেওয়া_হোক।